কক্সবাজারে থাকছে না উন্মুক্ত অনুষ্ঠান

থাকছে না উন্মুক্ত অনুষ্ঠান – বছরের মাঝামাঝি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং পর্যটন শিল্পের ধস হলেও বিদায়ি বর্ষের ডিসেম্বর থেকে চাঙ্গা কক্সবাজার পর্যটন শিল্প। পুরো মাস বুকিংয়ের পাশাপাশি থার্টিফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রতি বছরের মতো এবারও পর্যটকে টইটম্বুর।

 

কক্সবাজারে থাকছে না উন্মুক্ত অনুষ্ঠান

শতভাগ বুকিং এবং হোটেল-মোটেল জোনে তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই। তবে নতুন বছর কেন্দ্র করে পর্যটকের আগমন হলেও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, সৈকতে কোনো ধরনের আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো কিংবা পটকা ফোটানো যাবে না। তারকামানের বিভিন্ন হোটেল তাদের নিজস্ব অতিথিদের জন্য ডিজে শো, লাইভ মিউজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে সমুদ্রসৈকত ও উন্মুক্ত স্থানে এবারও কনসার্ট কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে না। কয়েকটি তারকা হোটেল প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নানা আয়োজন রেখেছে। এরই মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে থার্টিফার্স্ট নাইটের আয়োজন সম্পন্ন করতে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা ও হোটেল মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেছে জেলা প্রশাসন।
হোটেল মালিকরা বলছেন, সোমবার থেকে শহরের হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস-রিসোর্টের কোনো কক্ষ খালি নেই। থার্টিফার্স্ট নাইট (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শতভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং রয়েছে। আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তত পাঁচ-সাত লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা তাদের।
কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, এখন পাঁচ শতাধিক হোটেল-রিসোর্ট-গেস্টহাউস কটেজের কোনো কক্ষ খালি নেই। হোটেল-রিসোর্ট-গেস্টহাউসে দৈনিক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৪০ হাজার। এখন একটি কক্ষে গাদাগাদি করে পাঁচ-সাতজন করে থাকছেন।
আবুল কাশেম শিকদার জানিয়েছেন, তারকামানের সব হোটেল আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো রুম খালি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটিডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়ীদ আলমগীর জানান, ইন হাউস অতিথিদের জন্য ডিজে শো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাশ্রয়ী প্যাকেজে যারা ওই দিন হোটেলে আসবেন, তারা এসব উপভোগের সুযোগ পাবেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, যেসব হোটেলে অনুষ্ঠান হবে, সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশও থাকবে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপরও কোনো পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ সময়ের আলোকে বলেন, যানজট এড়াতে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেছেন, থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে সৈকতে কোনো ধরনের উন্মুক্ত প্রোগ্রাম করা যাবে না। নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সভা করেছি। থাকবে হেল্প ডেস্কও।

Leave a Comment