ট্রফি কক্সবাজার সৈকতে – আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘুরে গেল বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত থেকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ট্রফিটি কক্সবাজারে পৌঁছায়। বুধবার সকালে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্ট সংলগ্ন সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্র উর্মির সামনে প্রদর্শন করা হয়। সকাল দশটা থেকে তিনটা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হয় পর্যটকসহ সবার জন্য।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কক্সবাজার সৈকতে
ট্রফিটি প্রদর্শনী উপলক্ষে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমী ও কক্সবাজার আসা পর্যটকরা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আইসিসি ট্রফির সাথে ছবি তুলে স্মৃতি ধারণ করে রাখেন অনেকে।

প্রদর্শনীটির আশপাশে টুরিস্ট পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটি বুধবার সকালে কক্সবাজার সৈকতে আনার পর বিভিন্ন পয়েন্টে ছবি ধারণ করা হয়েছে।
আয়োজক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দুবাই ভিত্তিক বহুজাতিক লজিস্টিক কোম্পানী ‘ডিপি ওয়ার্ল্ডে’র তত্ত্বাবধানে ট্রফির বিশ্বভ্রমণ পর্ব শুরু করেছে টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। গত ১৬ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ট্রফি প্রদর্শনের অবস্থান ছিল স্বাগতিক দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে। পাকিস্তান পর্ব শেষে গত ২৬ নভেম্বর ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় আফগানিস্তানে। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত আফগানদের আতিথ্যে বিভিন্ন এলাকায় ট্রফি প্রদর্শিত হয়। পরে শুরু হয় ট্রফির বাংলাদেশ সফর পর্ব। আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় ট্রফিটি প্রদর্শন করা হবে।
ট্রফি প্রদর্শনের আয়োজক সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ঢাকায় অবস্থানরত উৎসুক দর্শনার্থীরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখার সুযোগ পাবেন ১২ ডিসেম্বর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। সেদিন সর্বসাধারণের জন্য রাখা হবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। পরদিন ট্রফি যাবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেদিন সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ট্রফি প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে।

বাংলাদেশ পর্ব শেষ করে ট্রফি ১৫ থেকে ২২শে ডিসেম্বর সাউথ আফ্রিকায় থাকার কথা রয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে অস্ট্রেলিয়াতে। পরের গন্তব্য ৬-১১ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ড, ১২-১৪ জানুয়ারি ইংল্যান্ড, ১৫-২৬ জানুয়ারি ভারত, সবশেষ ২৭ জানুয়ারি থেকে ইভেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে থাকার কথা রয়েছে ট্রফির।
আরও পড়ুন: