পেকুয়া উপজেলা | কক্সবাজার জেলা | চট্টগ্রাম বিভাগ | বাংলাদেশ

পেকুয়া উপজেলা আয়তন: ৩৩০.৪৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২১°৪৩´ থেকে  ২১°৫৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৩´ থেকে ৯২°০২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বাঁশখালী উপজেলা, দক্ষিণে মহেশখালী ও চকোরিয়া উপজেলা, পূর্বে চকোরিয়া উপজেলা, পশ্চিমে কুতুবদিয়া চ্যানেল।

জনসংখ্যা ১৪৯৬৫৮; পুরুষ ৭৬৭৭২; মহিলা ৭২৮৮৬। মুসলিম ১৪৮০৮০, হিন্দু ১৪৩২, খ্রিস্টান ১৩৩ এবং অন্যান্য ১৩। এ উপজেলায় মগ, রোয়াই প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা | কক্সবাজার জেলা | চট্টগ্রাম বিভাগ | বাংলাদেশ

জলাশয় কুতুবদিয়া চ্যানেল ও মাতামুহুরী নদী উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন ২০০২ সালের ২৩ এপ্রিল চকোরিয়া উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন (উজানটিয়া, পেকুয়া, টৈটং, মগনামা, রাজাখালী, বড়বাকিয়া, শিলখালী) নিয়ে পেকুয়া উপজেলা গঠিত হয়।

তথ্যঃ

পেকুয়া উপজেলা | কক্সবাজার জেলা | চট্টগ্রাম বিভাগ | বাংলাদেশ

পেকুয়া উপজেলাআদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১,

র্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৫৩, মন্দির ৯, কেয়াং ১।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ২৭.৯৩%; পুরুষ ৩০.৮৪%, মহিলা ২৪.৯২%। কলেজ ১, কারিগরি কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪০, স্যাটেলাইট স্কুল ৭, কমিউনিটি স্কুল ৪, এতিমখানা ১৩, মাদ্রাসা ২৬৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পেকুয়া জি.এম.সি ইনস্টিটিউশন (১৯৩৮), শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৮), পেকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৮)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান  লাইব্রেরি ১, ক্লাব ৭৮, মহিলা সমিতি ৫৫, খেলার মাঠ ১।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্ররয়েছে।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬২.০১%, অকৃষি শ্রমিক ৭.৪২%, শিল্প ০.৬৬%, ব্যবসা ১০.১৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.১৬%, চাকরি ৪.২৭%, নির্মাণ ০.৪৩%, ধর্মীয় সেবা ০.২১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.৭৪% এবং অন্যান্য ১১.৯২%।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৩৭.৮১%, ভূমিহীন ৬২.১৯%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু, সরিষা, মরিচ, আখ, গম, চীনাবাদাম, পান, শাকসবজি।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, লেবু।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১৫, গবাদিপশু ৩, হাঁস-মুরগি ১৫।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৮২.৭১ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৮০ কিমি, কাঁচারাস্তা ২০৫ কিমি। ব্রিজ ৩৭, কালভার্ট ১০৮।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা ধানকল, করাতকল, লবণ শিল্প, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, ছাপাখানা, বেকারি।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, কাঠের কাজ।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৭। রাজাখালী আলেক শাহ বাজার ও পেকুয়া হাট উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য চিংড়ি, লবণ, চীনাবাদাম, মাছ, পান, শাকসবজি।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭.৬০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা | কক্সবাজার জেলা | চট্টগ্রাম বিভাগ | বাংলাদেশ

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৫৫%, ট্যাপ ০.৬৬%, পুকুর ২.১৩% এবং অন্যান্য ০.৬৬%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৩.৮৫% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৬৮.০৪% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৮.১১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩, হাসপাতাল ২।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার বহু লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে এবং গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৯৯৭ সালের ১৯ মে প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়ে এ এলাকার সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

Leave a Comment